প্রথম পর্বঃ [ Ссылка ]
২০১৬ সালের পর প্রতি বছরই আমরা চেষ্টা করে যাই আমাদের অসম্পূর্ন অভিযান শেষ করার। পূর্ববর্তি তিক্ত অভজ্ঞতা এবং টিম মেম্বাদের সময় সুযোগ না হওয়ার কারনে পরবর্তি অভিজান শুরু করতে করতে তিন বছর কেটে যায়। ২০১৯ সালে গ্রুপে নতুন সদস্য নিয়ে আমরা আবার অভিজান শুরু করি। কিন্তু এবারের পথ ছিল আরো বেশী কষ্টকর। আগের বার আলিকদম আমতলী ঘাট থেকে দুসরী বাজার পর্যন্ত প্রায় ১৫ কিলোমিটার খুব সহযেই চলে গিয়েছিলাম নৌকায় করে। কিন্তু এ বছর বৃস্টি নামতে দেরী হওয়ায় টোয়াইন খালে নৌকা ছিল না। তাই আমতলী ঘাট থেকেই আমাদের ট্রেকিং শুরু করতে হয়।
সেদিন রাতে (২০১৬ সাল) আমরা নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে ধরা পড়ে যাই। সাধারনত প্রশাসনিক কোন ক্যাম্প মায়কোয়া পাড়ায় নেই, কিন্তু মাঝে মাঝে বিজিবি'র টহল দল এই পাড়ায় টহল দিতে আসে। দূর্ভাগ্যক্রমে আমরা যেদিন মায়কোয়া পাড়ায় পৌঁছাই সেদিন বিজিবি'র একটা টিম সে পাড়ায় টহল দিতে এসেছিল এবং রাত্রি যাপন করছিল। আর ওই সময়ই আমরা পাড়ায় গিয়ে পৌছাই। আমাদের আটক করে অনেক রাতব্দি জিজ্ঞাসাবাদ চলে। এক পর্যায়ে আমাদের ছেড়ে দেওয়া হয় এবং বলা হয়, যে পথ ধরে আমরা এসেছি সে পথেই ব্যাক করতে হবে। পরের দিন খুব ভোরে আমাদের ফিরতি পথে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
মায়কোয়া পাড়া থেকে আবার সেই রহস্যময় ঝিরি ধরে আমরা ম্যানরাম পাড়া চলে আসি চার ঘন্টায়। তারপর কিছুটা সিদ্ধান্ত বদলে আমরা কুরুক পাতা থেকে মাতামুহুরি নদী হয়ে আলিকদম চলে যাওয়াই সঠিক ধরে এগুতে থাকি। কিন্তু নদীতে আমাদের বোট নষ্ট হয়ে যাওয়ায় অনেক রাতে গিয়ে ধরা পড়ি জানালি পাড়া আর্মি ক্যম্পে। এখানে অনেকক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আমাদের আরেকটি বোটে পাঠিয়ে দেওয়া হয় আলিকদম ক্যান্টনমেন্টে।
Ещё видео!