বছরের প্রথম দিন শান্তিনিকেতন থেকে রোড ট্রিপ এ বেরিয়ে পড়েছিলাম বিষ্ণুপুরের রাস্তায়।সারাদিন প্রচুর ঘোরাঘুরি আর টেরাকোটার সাম্রাজ্যে নিজেকে রানি মনে হচ্ছিল।
বাঁকুড়া জেলার দুই শিল্পী গ্রাম- পাঁচমুড়া (টেরাকোটা) এবং বিকনা (ডোকরা) গেছিলাম।
বিষ্ণুপুর থেকে খুব একটা দূরত্ব নয়।চাইলে একদিনেই দুটো গ্রাম কভার করা যায় ।
বিকনা গ্রামে সর্ব সাকুল্যে ৬০ টা শিল্পী পরিবার ।সবাই নিজেদের মতন ডোকরা র মূর্তি বানিয়ে সাজিয়ে রেখেছে । ট্র্যাডিশনাল ফিগারের সাথে সাথে কাল উপযোগী ডিজাইন যেটা কিনা ইউটিলিটি কাম হোম ডেকরের কাজেও লাগবে যেমন ক্যান্ডেল স্ট্যান্ড,মোবাইল হোল্ডার ইত্যাদি ।অক্টোবর মাসে গোড়ার দিকটা এদের একটি মেলা ও হয়ে ।
পাঁচমুড়া গ্রাম এ বাঁকুড়ার বিখ্যাত বহু আকারের ঘোড়ার পাশাপাশি মন্দিরের গায়ের যে ভাস্কর্য আছে সেইগুলোও টাইলস আকারে পাওয়া যায় ।তাছাড়া জামিনি রায়ের পেইন্টিংস এর আদলেও অনেক ডিজাইন আছে।
পিংলা গ্রাম যেন রাতারাতি একটি মেলা প্রাঙ্গণে পরিণত হয়েছে ।গ্রামে ঢোকবার মুখে ওদের একটি মিউজিয়াম আছে যেখানে ওরা ওদের বহু দিনের সংগৃহীত হাতের কাজ সাজিয়ে রেখেছে,যা দেখবার মতন ।তাছাড়া শিল্পীদের লাইভ আর্টস দেখবার সুযোগ ই বা কজনের হয়ে।এই গ্রামে প্রায় ২৫০ এর বেশি শিল্পী বা “পটুয়া”পরিবার আছে ।পটুয়ারা ন্যাচারাল কলার্স এর সাহায্যে লম্বা কাপড়ের ওপরে পৌরাণিক বহু গল্প ফুটিয়ে তোলেন এবং সেই স্ক্রোলস গুলো গান গাইতে গাইতে খুলে দেখান ।
ঘুরতে ঘুরতে এটাই মনে হছিল আমাদের গ্রাম বাংলার এইসব অসামান্য হাতের কাজ যেন চিরকাল বেঁচে থাকে । এই সব শিল্পীদের তাদের শিল্প কর্মের প্রতি নিরন্তর প্রয়াস,তাদের সৃজনশীলতা এবং গ্রামীণ জীবনের সরলতার মধ্যে যে অনাবিল আনন্দ আছে তা দেখে যেন সঞ্জীবিত হয়ে ফিরলাম ।
আর তার সাথে বিষ্ণুপুরের মল্ল রাজাদের মন্দির আমাদের মুগ্ধ করেতুলেছিল।
#bishnupur
#bankura
#bishnupurvlog
#rashmancha
#travel
#travelvlog
Ещё видео!