রহস্যময় এক দ্বীপ হাতিয়া। সম্পদে ভরপুর হাতিয়ার রয়েছে অফুরন্ত সম্ভাবনা। প্রমত্তা মেঘনা আর বঙ্গোপসাগর ( Bay of Bengal ) মিলনের বিশাল জলরাশির প্রচণ্ড দাপটের মুখে গড়ে ওঠা খনিজ ও প্রাণিজ সম্পদ আর হাজারো রকম উদ্ভিদে ভরপুর এক দ্বীপ হাতিয়া। যেন সাগরের বুকে আরেক খণ্ড বাংলাদেশ। প্রকৃতির ভাঙা-গড়ার খেলায় প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হচ্ছে এই দ্বীপের মানচিত্র। দূর থেকে দেখে দ্বীপটিকে মনে হয় বিস্তর জলরাশির মধ্যে এক ডলফিন। মূল ভূখণ্ডের চারদিকে জেগে ওঠা অন্তত ৩৫টি ছোট-বড় চর সে কথাই জানান দেয়। তাই রহস্যদ্বীপ হাতিয়া যেন স্রষ্টার অপার এক রহস্যময় সৃষ্টি।
সাগরে জেগে উঠা চর :
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশের দক্ষিণে বিশাল ভূ-ভাগ তলিয়ে যাবে। উদ্বাস্তু হবে দেশের কোটি কোটি মানুষ, এমন প্রচারণা যারা চালাচ্ছেন তারা ভুল প্রমাণিত হবেন। ভূখণ্ডের সাথে কয়েক হাজার বর্গকিলোমিটার নতুন ভূমি যুক্ত হয়েছে। গবেষকদের মতে, নতুন ভূমি বাংলাদেশের মূল ভূখণ্ডের ১০ ভাগের ১ ভাগেরও বেশি। গত কয়েক দশকে Hatia উপকূলের জেলাগুলোতে ( চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, কক্সবাজার, পটুয়াখালী, ফেনী, ভোলা সহ অন্যান্য উপকূলীয় জেলা) আনুমানিক ১০ হাজার বর্গকিলোমিটার নতুন ভূমি জেগে উঠেছে। অনেক আগেই নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় বঙ্গোপসাগরের বুকে জেগে ওঠে নিঝুম দ্বীপ, স্বর্ণদ্বীপ, ভাসানচর ( nijhum dip, Swarna Dweep, bhasan char ) সহ আরো অনেক দ্বীপ।
অর্থনীতিক সম্ভাবনাঃ
হাতিয়া ও নিঝুম দ্বীপে প্রচুর পরিমাণ বিভিন্ন খনিজ পদার্থ রয়েছে বলে ইতিমধ্যে বিভিন্ন সংস্থার জরিপে ও বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন।
হাতিয়ার উপকূল দেশের অন্যতম মৎস্য চারণ ক্ষেত্র। হাতিয়ার উপকূলীয় এলাকায় ট্রলারগুলো যে পরিমাণ মাছ ধরে তা গোটা দেশের আহরিত মাছের ১৭ ভাগ। মাছ ধরা ব্যবস্থাপনায় আধুনিক প্রযুক্তির সংযোজন করা গেলে দেশের চাহিদা পূরণের পরও ৩০ লাখ মেট্রিক টন মাছ রপ্তানি করা সম্ভব হতো। হাতিয়ার মাটি অত্যন্ত উর্বর। এ দ্বীপে বার্ষিক খাদ্যশস্য উৎপাদনের পরিমাণ ৯৮ হাজার মেট্রিক টন। খাদ্যশস্যের চাহিদা ৫৮ হাজার মেট্রিক টন। উদ্বৃত্ত খাদ্যশস্যের পরিমাণ ৪০ হাজার মেট্রিক টন। নিঝুমদ্বীপের দুই-তৃতীয়াংশ জুড়ে রয়েছে বন বিভাগের তৈরি বাগান। সেখানে সুন্দরবন sundarban এর সুন্দরী, কেওড়া, গেওয়া, গোলপাতা, কেশরী ইত্যাদি বৃক্ষ জন্মে।
⚠ এই চ্যানেলের কোন ভিডিও ডাউনলোড করে, পুনরায় কোন অনলাইন মাধ্যমে আপলোড করবেন না।
⚠ DO NOT DOWNLOAD & RE-UPLOAD THIS VIDEO IN ANY OTHER ONLINE PLATFORM
✔✔✔ এই ইউটিউব ভিডিওর লিংক শেয়ার করুন।
☢☢☢ এই ভিডিওতে ব্যবহৃত কিছু ছবি প্রকৃত ব্যক্তি, ঘটনা, সময় বা স্থানকে উপস্থাপন করে না; দৃশ্যের শূণ্যতা পূরন করতে তা ব্যবহার করা হয়েছে। ☢☢☢
Ещё видео!