সমুদ্র এক অনন্য emmotion , আবার যদি সেটা হয় একেবারে স্থলভাগ থেকে একেবারে বিচ্ছিন্ন ভাবে তৈরি ,দুই বান্ধবীর গন্তব্য ছিল পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ প্রান্তের সমুদ্র সৈকত অভিযানে যাওয়া সাথে বাজেট আর সময় ছিল খুব সীমিত, অনেক ভাবনা চিন্তা করে মন ভালো করার উদ্দেশ্যে পাড়ি দিলাম দক্ষিণ ২৪ পরগনার নির্জন সমুদ্র সৈকত গোবর্ধনপুর , যাওয়ার রাস্তা ভীষণ interesting ,ট্রেন, বাস, নৌকা, টোটো সব ধরণের যান বাহন মিলিয়ে এক অনন্য এডভেঞ্চার,
কিভাবে যাবেন ?
ঠিক করলাম সকাল ৫.৫৫ এর লক্ষীকান্তপুর লোকাল ধরে যাবো লক্ষীকান্তপুর ,১৫ টাকা করে প্রতি জন,সকাল ৭.৩০ নাগাদ নেমে ধরলাম বাস ,রামগঙ্গা ঘাট যাওয়ার, স্টেশন থেকে একটু বেরিয়েই বাস স্ট্যান্ড,লাগলো প্রায় ১.৩০ ঘন্টা , যাওয়ার রাস্তা খুব ই ভালো ছিল ,তাই বাস ছুটছিল খুব জোরে ,এছাড়া লক্ষীকান্তপুর নেমে আপনারা ম্যাজিকে করে যেতে পারেন মিলনমোড়ে ,সেখান থেকে পেয়ে যাবেন রামগঙ্গা যাওয়ার ম্যাজিক অথবা ভ্যান, বাসে ভাড়া লাগলো ৪৫ টাকা করে,
রামগঙ্গা ঘাটে এসে বুঝতে পারলাম এখানে আমরা শহরের মানুষেরা যেভাবে বিভিন্ন বাসে বিভিন্ন জায়গায় যাই ,ঠিক সেভাবেই এখানকার মানুষেরা অপেক্ষা করে লঞ্চের , বিভিন্ন জায়গার লঞ্চ এখানে দাঁড়ায় ,যার যেখানে যাওয়ার দরকার সে সেই লঞ্চে ওঠে ,আমাদের ফেরি ছিল সকাল ৯.৩০ এই পাথরপ্রতিমা ঘাট থেকে ,যেটা রামগঙ্গা ঘাটে আসে ৯.৪৫ নাগাদ , তবে স্থানীয় মানুষের থেকে শুনলাম সোমবার ভিড় খুব বেশি হয় , এখান থেকে চাঁদমারি ঘাট লাগে ১.৩০ ঘন্টা ,
উঠে পড়লাম লঞ্চে ,জীবনের সেরা অভিজ্ঞতার মধ্যে অন্যতম এটি ছিল ,দুধারে ম্যানগ্রোভের জঙ্গল আর মাঝ দিয়ে চলেছে নৌকা ,মাঝে মাঝে বিভিন্ন ঘাটে ঘাটে দাঁড়াচ্ছে লঞ্চ ,ভিতরে আছে বসার ব্যবস্থা , নৌকা নিলো ২০ টাকা করে ,নামলাম G-Plot চাঁদমারি ঘাট ,সেখানে বলা ছিল টোটো (রামকৃষ্ণ মিশনের ),ভাড়া নিয়েছিল ২৫০ টাকা , সময় লাগলো ১ ঘন্টা ,টোটো না বলা থাকলে ৩ বার যান পরিবর্তন করে যেতে হয় ,
কোথায় থাকবেন ?
দুদিন আগে ফোনে বলে দিয়েছিলাম রামকৃষ্ণ সেবাশ্রম সংঘ কে ,জন প্রতি ৬০০ টাকা করে ,থাকা খাওয়া ,একদম ছিমছাম পরিবেশে এই মিশনটি ,দুপুরের খাবারে ছিল সমুদ্রের ইলিশ ,সন্ধ্যে তে বেগুনি পাঁপড়,মুড়ি আর রাতের খাবারে ছিল মুগরীর ঝোল ,মূল্য অনুপাতে এলাহী আয়োজন ,এখানে থাকলে তবেই এনাদের টোটো পাবেন ,তাছাড়া এখানে একটি নেচার ক্যাম্প ও আছে,একটি হোম stay আছে -ঝাউ মন Homestay(১২০০ টাকা থাকা খাওয়া প্রতি জন ) ,চাইলে এখানেও থাকতে পারেন
কি কি ঘুরবেন ?
এখানকার মূল আকর্ষণ গোবর্ধনপুর সি বিচ, এছাড়া আছে বুড়াবুড়ির তট সি বিচ,G-Plot সি বিচ,বিশেস্বর পয়েন্ট সি বিচ , এখানকার সমুদ্র একেবারে অন্য ধরণের ,গতানুগতিক ধাঁচ থেকে একেবারেই আলাদা ,আর এই এলাকায় বেশিরভাগ মানুষের জীবিকা হচ্ছে মাছ ধরা ,শহুরে যাদব কায়দা পরিবেশ সব কিছুর থেকে আলাদা এ জায়গা
কিভাবে ফিরবেন ?
ফিরতে পারেন এক ই রাস্তায় , আমরা এক্সপেরিমেন্ট করার জন্য ফিরেছিলাম সীতারামপুর ঘাট হয়ে ,নৌকা ভাড়া লেগেছিলো জন প্রতি ৩০ টাকা সে অসাধারণ এক অভিজ্ঞতা ,আন্তর্দেশীয়ও নৌকা মাছের সন্ধানে পাড়ি দে সেই ঘাট থেকে , নদীর মধ্যে সারি সারি দাঁড়িয়ে তারা , সময় লাগলো প্রায় আরো ১ ঘন্টা বেশি ,তবে জীবনে সঞ্চয় করলাম বহু মূল্যবান অভিজ্ঞতা , ফেরার সময় লক্ষীকান্তপুর থেকে ধরেছিলাম সোনারপুর লোকাল , সেখান থেকে আবার ট্রেন ধরে শিয়ালদাহ ।
আমার গল্প টি ফুরালো নটে গাছটি মুড়ালো
রামকৃষ্ণ মিশন সেবাশ্রম সংঘ সুধাংশু মাইতি 9733679052
Ещё видео!