Lalsalu is a novel by Syed Waliullah published in 1948 by Comrade publishers. It is a classic of modern Bengali literature. Waliullah was conferred Bangla Academy Award for this debut novel in 1961. By 1981 the book's 10th edition was published. The novel starts with the description of Mohobbotnagar village and the difficulties of village life. A clever man named Majid arrives in the village and realizes that most of the men in the village are simple minded and can easily be fooled through religious superstitions. Majid starts scolding the villagers claiming that they haven't taken care of the grave of the Mudassir Pir (which literally means unknown holyman) and tells them a made up story of a pir (Religious magician) showed him a dream that his grave is not being taken care of and that the people of that area are sinners. Almost every one of the village believed Majid's story including the so-called head of the village, Khalek Bepari. Majid makes a good impression on everyone in the village including Khalek Bepari. The villagers repaired the grave, made a majar (Shrine) and a house for Majid. Majid then starts living there and becomes wealthy by fooling the people of the village with the means of fake religious teachings. Majid also marries Rahima, a widowed lady who is a obedient wife. Majid faces many problems as few people go against him such as Hasuni's grandfather, Khalek Bepari's senior wife, Akkas Mia for establishing a school and the arrival of a great Pir in Awalpur. But very cunningly he solves all these problems. Majid later also marries a teen girl named Jamila (as a second wife), who later on get punished for going against Majid's false teachings which results her being tied up near the holy shrine.
Majid's true character is slowly revealed throughout the story but the villagers are too simple-minded to understand his tricks from the very beginning.
লালসালু বাঙালি লেখক সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ রচিত অভিষেক উপন্যাস। ১৯৪৮ সালে রচিত এবং প্রকাশিত উপন্যাসটি বাংলা সাহিত্যের ধ্রুপদী সৃষ্টিকর্ম হিসেবে বিবেচিত। এর পটভূমি ১৯৪০ কিংবা ১৯৫০ দশকের বাংলাদেশের গ্রামসমাজ হলেও এর প্রভাব বা বিস্তার কালোত্তীর্ণ। ধর্মভীরু গ্রামীণ মুসলিম সমাজে সাধারণ মানুষের সরলতাকে কেন্দ্র করে এক কল্পিত মাজারকে পুঁজি করে চতুর ধর্মব্যবসায়ী কীভাবে প্রতিষ্ঠা পায়, ধর্মকে ব্যবসার উপাদানরূপে ব্যবহার করে কিভাবে স্বার্থহাসিল করে তাই চিত্রিত হয়েছে এ উপন্যাসে।
ওয়ালীউল্লাহ এই উপন্যাসের জন্যে ১৯৬১ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার পান।উপন্যাসটি উর্দু, ফরাসি, ইংরেজি, জার্মান ও চেক ভাষায় অনুবাদ করা হয়েছে।
লালসালু মূলত একটি সামাজিক উপন্যাস। যুগ-যুগ ধরে প্রচলিত কুসংস্কার, অন্ধবিশ্বাস ও ধর্মীয় ভীতি এই উপন্যাসের উপজীব্য বিষয়। মজিদ নামে এক স্বার্থান্বেষী, ভণ্ড ধর্মব্যবসায়ীকে কেন্দ্র করে এর কাহিনী গড়ে উঠেছে। স্বার্থান্বেষণে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে অবশেষে সে মহব্বতনগর গ্রামে ঘাঁটি গাড়ে মাতব্বর খালেক ব্যাপারীর বাড়িতে। সেই গ্রামের বাঁশঝাড়সংলগ্ন ছিল একটি পরিচয়বিহীন কবর। এরপর মজিদ প্রচার করতে শুরু করে কবরটি ‘মোদাচ্ছের’ (নাম না জানা) পীরের এবং স্বপ্নাদেশে মাজারের তদারকির জন্যই এ গ্রামে তার আগমন ঘটেছে। গ্রামবাসী তার স্বপ্নের বিবরণ শুনে ভীত হয় এবং একইসাথে বিশ্বাস করে। তারা কবরটি দ্রুত পরিষ্কার করে লালসালুতে ঢেকে সেটিকে একটি পীরের মাজারে পরিণত করে। আর মজিদ হয়ে উঠে মাজেরের খাদেম। এভাবে মজিদের একচ্ছত্র আধিপত্যের প্রধান কেন্দ্র হয়ে উঠে মাজারটি। অল্পদিনের মধ্যেই মজিদ সম্পত্তির মালিক হয়ে উঠে। ধর্মকর্মের মধ্য দিয়ে নিজেকে অলৌকিক ক্ষমতাসম্পন্ন বলে প্রচারের মাধ্যমে গ্রামের প্রভাবশালী কর্তাব্যক্তিতে পরিণত হন।
১৯৬০ সালে পাকিস্তান লেখক সংঘ কর্তৃক করাচি থেকে Lal Shalu নামে উপন্যাসটির উর্দু অনুবাদ প্রকাশিত হয়। অনুবাদ করেছিলেন কলিমুল্লাহ। একই বছর প্যারিস থেকে এর ফরাসি অনুবাদ বের হয়। লাহব সঁ হাসিনস (L Arbre sans racines) শিরোনমে ফরাসি অনুবাদ প্রকাশিত হয়েছিল Editions du Seuil প্রকাশনী থেকে। এটি অনুবাদ করেছিলেন ওয়ালীউল্লাহর সহধর্মিণী অ্যান-মারি-থিবো। লালসালু উপন্যাসের ইংরেজি অনুবাদ করেন অ্যান-মারি-থিবো, জেফ্রি ডিবিয়ান, কায়সার সাঈদ এবং মালিক খৈয়াম। তবে ওয়ালীউল্লাহ নিজে এতে সম্প্রসারণের কাজ করেন। ১৯৬৭ সালে যুক্তরাজ্যের লন্ডনের Chatto অ্যান্ড Windus লিমিটেড থেকে ট্রি উইদাউট রুটস (Tree Without Roots) শিরোনামে প্রকাশিত হয়। পরবর্তীতে উপন্যাসটি আরবি, জার্মান, চেক, ইন্দোনেশীয়, জাপানী ভাষাসহ বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে।
Ещё видео!