#Maverick_Mithun (M Square)
কক্সবাজারের টুরিস্ট স্পট | প্যারাসেইলিং | পাটুয়ারটেক | ইনানী | মিনি বান্দরবান | নাজিরারটেক শুটকি মার্কেট | পতেঙ্গা সী বীচ | Cox's Bazar Tourist Spot | Cox's Bazar Tour 2024 | Travel Vlog
কক্সবাজার ভ্রমণের প্রথম পর্বের লিংক
[ Ссылка ]
কক্সবাজার ভ্রমণের দ্বিতীয় দিনে হোটেলের নিচের রেস্টুরেন্ট থেকে সকালের খাবার খেয়ে সকাল দশটায় সিএনজি রিজার্ভ করে আমরা বের হয়ে পড়ি কক্সবাজারের বিভিন্ন পর্যটন স্পট ঘুরে দেখার জন্য। সিএনজি রিজার ভাড়া নেই ১১০০ টাকা। প্রথমেই আমরা যাই পাটুয়ারটেক। কক্সবাজার থেকে পাটুয়ারটেকের দূরত্ব প্রায় ৩২ কিলোমিটার। যেতে হয় মেরিন ড্রাইভ ধরে। প্রায় ৫০ মিনিট লাগলো আমাদের পাটোয়ারটেক পৌঁছাতে। পাটুয়ারটেক সমুদ্র সৈকতটি অনেকটা সেন্ট মার্টিন সী বিচ এর মত। এখানে প্রচুর কোরাল রয়েছে। পাটুয়ারটেক সমুদ্র সৈকত দেখার পর আমরা চলে যাই ইনানী বীচে। পাটোয়ারটেক থেকে ইনানীর দূরত্ব প্রায় ৬ কিলোমিটার। প্রচুর রোদ থাকার কারণে ইনানী সমুদ্র সৈকত প্রায় পর্যটক শূন্য ছিল। ইনানীতে আধা ঘন্টা সময় ব্যয় করে আমরা চলে যাই লাল কাঁকড়া বিচে। লাল কাঁকড়া বীচে ঝোলানো হ্যামোক রয়েছে। যেখানে শুয়ে আরাম করে নিতে পারেন।তবে এজন্য ঘণ্টা প্রতি দিতে হবে ৫০ টাকা করে। লাল কাঁকড়া পিছ থেকে আমরা চলে যাই মিনি বান্দরবান দেখতে। মিনি বান্দরবানের পাহাড়ের চূড়ায় বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটিয়ে আমরা চলে যাই হিমছড়ি এবং হিমছড়ির কাছাকাছি ফান ফেস্ট বীচ অ্যাক্টিভিটিজে প্যারাসেলিং করি। প্যারাসিলিং করতে আমাদের খরচ হয় জনপ্রতি ২০০০ টাকা। এরপর আমরা হোটেলে ফিরে যাই। দুপুরের খাবার খেয়ে হোটেলে ঘুমিয়ে ফিরে যাই সুগন্ধা বিচে। সুগন্ধা বিচ থেকে হেঁটে চলে যাই লাবনী বীচে এবং বীচের বেডে শুয়ে সমুদ্রকে উপভোগ করি। এরপর যাই লাবনী বীচের শুঁটকি মার্কেটে। লাবনী বীচের শুঁটকি মার্কেটে বেশ কিছুক্ষণ ঘুরাঘুরি করে রাতের খাবার খেয়ে চলে আসি সুগন্ধা বীচের কাছের শুঁটকি মার্কেটে। এখানে এসে এক রিকশাচালকের কাছে জানতে পারলাম শুটকির জন্য কক্সবাজারের নাজিরারটেক সবচেয়ে বিখ্যাত। তাই সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নেই পরদিন সকালে আমরা প্রথমে নাজিরারটেক থেকে শুটকি কিনে তারপর বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হব। মে মাসের ১৭ তারিখ রোজ শুক্রবার ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে সবাই যার যার মত রেডি হয়ে প্রথমেই আমরা হোটেল চেক আউট করি। তারপর হোটেলেরই রেস্টুরেন্ট থেকে সকালের খাবার খেয়ে অটো রিচার্জ করে চলে যাই নাজিরারটেকে। অটো ভাড়া নে ৩০০ টাকা। নাজিরারটেক থেকে শুটকি মাছ ক্রয় করে আমরা চলে আসি ডলফিন মোড়ে। ডলফিন মোড় থেকে মারছা বাসে করে ফিরে আসি চট্টগ্রাম। চট্টগ্রামের নতুন ব্রিজের সামনে নেমে ৩৫০ টাকা দিয়ে সিএনজি রিজার্ভ করে চলে যাই পতেঙ্গা সী বীচ দেখতে। সন্ধ্যা পর্যন্ত আমরা পতেঙ্গা সী বীচে ছিলাম। এরপর সিএনজি রিজার্ভ করে চলে আসি চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে। সিএনজি ভাড়া নেই ২৮০ টাকা। চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা গামী তূর্ণা ট্রেনে করে আমরা চলে যাই বাড়ির পথে।
আমার এই কক্সবাজার-চট্টগ্রাম ভ্রমণ ছিল ২ রাত তিন দিনের।
তারিখ অনুযায়ী প্রতিদিনের খরচের হিসাব নিচে দেওয়া থাকলো :
বিশেষ দ্রষ্টব্য: এইবারকার ভ্রমণে আমি ও টুর লাভারস অফ কিশোরগঞ্জের ৩ এডমিন সহ মোট চারজন ছিলাম। তাই চারজনের খরচের হিসাব নিচে একত্রে দেওয়া থাকলো এবং সমস্ত খরচের শেষে জনপ্রতি কত খরচ হয়েছে তাও দেওয়া থাকলো।
১৪/০৫/২০২৪, মঙ্গলবার, ০ দিন
কিশোরগঞ্জ থেকে ভৈরব পর্যন্ত বাস ভাড়া - ৪০০/-
ভৈরবের দুর্জয় মোড় থেকে রেলস্টেশন পর্যন্ত অটো ভাড়া - ৪০/-
রাতের খাবার - ২১০/-
ভৈরব থেকে মহানগর এক্সপ্রেস এ চট্টগ্রাম পর্যন্ত শোভন চেয়ার আসনের ভাড়া - ১২৪০/-
---------------------------------
মোট = ১৮৯০ টাকা
১৫/০৫/২০২৪, বুধবার, ১ম দিন
সকালের নাস্তা - ৩৩০/-
চট্টগ্রাম রেলস্টেশন থেকে নতুন সিএনজি ভাড়া - ১০০/-
চট্টগ্রাম টু কক্সবাজার বাস ভাড়া - ১৬৮০/-
কক্সবাজারে দুই দিন হোটেল ভাড়া - ২৫০০/-
দুপুরের খাবার - ৬০০/-
রাতের খাবার - ৪০০/-
---------------------------------
মোট = ৫৬১০ টাকা
১৬/০৫/২০২৪, বৃহস্পতিবার, ২য় দিন
সকালের খাবার - ৪২০/-
সিএনজি রিজার্ভ করে বিভিন্ন পর্যটন স্পট ভ্রমণ - ১১০০/-
দুপুরের খাবার - ৬০০/-
রাতের খাবার - ৪২০/-
---------------------------------
মোট = ২৭০০ টাকা
১৭/০৫/২০২৪, শুক্রবার, ৩য় দিন
সকালের খাবার - ৩৪০/-
হোটেল থেকে নাজিয়ারটেক অটো রিজার্ভ ভাড়া - ৩০০/-
কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম বাস ভাড়া - ১৬৮০/-
দুপুরের খাবার - ৩৭০/-
চট্টগ্রামের নতুন ব্রিজ থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত সিএনজি রিজার্ভ ভাড়া - ৩৫০/-
পতেঙ্গা থেকে চট্টগ্রাম রেলস্টেশন পর্যন্ত সিএনজি রিজার্ভ ভাড়া - ২৮০/-
রাতের খাবার - ৩৯০/-
চট্টগ্রাম থেকে ভৈরব পর্যন্ত ট্রেন ভাড়া - ১২৪০/-
ভৈরব রেলস্টেশন থেকে দুর্জয় মোড় পর্যন্ত অটো ভাড়া - ৫০/-
ভৈরব থেকে কিশোরগঞ্জ বাস ভাড়া ৪০০/-
---------------------------------
মোট ৫৪০০/-
সর্বমোট খরচ
১৮৯০ + ৫৬১০ + ২৭০০ + ৫৪০০ = ১৫৬০০/-
জনপ্রতি খরচ হয়েছে ১৫৬০০ ÷ ৪ = ৩৯০০ টাকা।
যারা ভ্রমণসঙ্গীর অভাবে বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করতে পারছেন না তারা নিঃসন্দেহে নিঃসংকচে ট্যুর লাভারস অফ কিশোরগঞ্জের গ্রুপে জয়েন করতে পারেন।
টুর লাভারস অফ কিশোরগঞ্জ এই গ্রুপটি বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় স্বল্প খরচে ট্যুর আয়োজন করে থাকে।
নিচে এই গ্রুপে জয়েন এর লিংক দেওয়া থাকলো
[ Ссылка ]...
Email: maverick.mithun@gmail.com
Facebook: [ Ссылка ]
Facebook Page: [ Ссылка ]
Instagram: [ Ссылка ] /
Music Credit :
YouTube Audio Library
===============================
Thanks all.
Ещё видео!