মুক্তাগাছার জমিদার গৌরিকিশোর আচার্যের পালক পুত্র ছিলেন রাম কিশোর আচার্য চৌধুরী। তাঁর জন্মদাতা পিতার নাম ছিলো গগন চৌধুরী। রামকিশোরকে দত্তক নেয়া নিয়ে অনেক ঝামেলা হয় আচার্য পরিবারে। এই আলোচনা অন্য একদিন করা যাবে। রামিকিশোর জন্মেছিলেন ১৮৩০ সালে। পর্দায় আপনারা যে বাড়িটি দেখছেন এখানেই রামকিশোর বসবাস করতেন এবং এখান থেকেই জমিদারী পরিচালনা করতেন। রামকিশোরের মৃত্যুর পর এ বাড়িতে তার ছেলে জগৎ কিশোর থাকতেন।
রামকিশোর ও জগৎ কিশোরের এ বাড়িটিই বর্তমানে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের অধীনে রয়েছে। বাকী জমিদারদের বাড়িতে স্কুল-কলেজসহ বিভিন্ন স্থাপনা তৈরি করা হয়েছ। বন্ধুরা আপনারা জানেন যে, মুক্তাগাছার জমিদারী প্রতিষ্ঠার প্রাণ পুরুষ ছিলেন শ্রীকৃষ্ণ চৌধুরী। তাঁর চার ছেলে মুক্তাগাছায় এসে আলাদাভাবে বাড়ি নিমার্ণসহ নিজ নিজ জমিদারী স্থাপন করেন।
তাদের মৃত্যুর পর এদের সন্তানদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ ছিলো প্রতিদিনের ঘটনা। এমনকি উৎসব-আনন্দেও এক জমিদার আরেক জমিদারের মুখ পর্যন্ত দেখতো না। জমিদারদের মধ্যে একটি রীতি ছিলো, পূজোর সময় রাজেশ্বরী মন্দিরের সামনে সবাই পশুবলি দিতো। যেহেতু জমিদারেরা একজন আরেকজনের ছায়া পর্যন্ত দেখতে পারতো না তাই কে আগে, কে পরে পশুবল দেবে এটা নিয়ে বিবাদ হতো।
বৃটিশ সরকার এটি জানার পর সরকারের পক্ষ থেকে বলির সময় একজন সরকারী কর্মচারীকে উপিস্থিত থাকার নির্দেশ দেয়। সেই সময় ডেপুটি কালেক্টরেট অফিসের নাজিরই ছিলো বাঙালি কর্মচারীদের মধ্যে সবথেকে বড় পদের কর্মচারী।
একবার পূজোর সময় নাজির সাহেব শ্রীকৃষ্ণের তৃতীয় ছেলে বিষ্ণুরাম আচার্যের বংশধরদেকে আগে বলি দেয়ার অনুমতি দেয়। এতেই ক্ষেপে যায় জমিদার রামকিশোর।
জমিদকার নাজিরকেই বলি দেয়ার হুকুম দেয়। জমিদারের নির্দেশে বলি দেয়া হয় সরকারী এ কর্মচারীকে।
পরবর্তীতে ব্রিটিশ সরকার রামকিশোরের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় একটি হত্যামামলা দায়ের করে। কিন্তু বদরাগী এ জমিদারের বিরুদ্ধে কেউ স্বাক্ষী না দেয়ায় আদালত রামকিশোরকে দোষী সাব্যস্থ করতে পারে নাই। এভাবেই রাম কিশোর পার পেয়ে যায়।
রামকিশোরের নামের সাথে আমাদের দেশের মানুষ খুব একটা পরিচিত না থাকলেও তাঁর স্ত্রী বিদ্যাময়ী দেবীর নামটি সবার জানা! ময়মনসিংহ শহরে বিদ্যাময়ী দেবীর নামে মেয়েদের একটি স্কুল রয়েছে। স্কুলটি শতবছর ধরে জেলার সেরা বিদ্যাপীঠ। এ স্কুলটি নিমার্ণ করেন রামকিশোরের পুত্র জগত কিশোর আচার্য চৌধুরী। জগত কিশোর পিতার নামেও মুক্তাগাছায় একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। রাম কিশোর উচ্চ বিদ্যালয় বা আর কে স্কুলটিও উপজেলার সেরা বিদ্যাপীঠ।
রামকিশোরের জমিদারী জীবন খুব একটা শান্তির ছিলো না। জেদ, রাগ ও অহমিকার জন্য তাকে মূল্য দিতে হয়েছিলো। সারাজীবন কলহ-বিবাদ ও মামলা নিয়েই তাকে থাকতে হয়েছে। অবশ্য তার পুত্র জগত কিশোর বাঙলার জমিদারদের মধ্যে বেশ নাম কামিয়েছিলেন। জগত কিশোর এ অঞ্চলের মানুষের কাছে এখনো কিংবদন্তী তুল্য।
#mymensingh #মুক্তাগাছাজমিদারবাড়ি
# রাজবাড়ী #রাজবাড়ি
#muktagacha #zamidar #পূজোয়মানুষবলি
#জমিদার #জমিদারবাড়ি
#বলি
#TuhinOnTheWay
০১। ইতিহাসের পাতায় শশীলজ। দত্তক পুত্ররা যেভাবে রাজা-মহারাজা।
[ Ссылка ]
০২। শতবর্ষের সেরা স্থাপত্যশৈলী: আলেকজান্দ্রা ক্যাসেল
[ Ссылка ]
০৩। অভিশপ্ত রামগোপালপুর জমিদারবাড়ির অজানা ইতিহাস
[ Ссылка ]
০৪। দেবী ভেনাসের নগ্ন মূর্তির ইতিহাস
[ Ссылка ]
০৫। জগত বিখ্যাত মুক্তাগাছার মন্ডা
[ Ссылка ]
Please Connect our Different Social Platform:
Facebook-----
ID- [ Ссылка ]
Page- [ Ссылка ]
Instagram ID- [ Ссылка ]
Twiter- [ Ссылка ]
Linkdin- [ Ссылка ]
Ещё видео!