নরসিংদীর ডাঙ্গা গ্রামে অবস্থিত লক্ষণ সাহার জমিদার বাড়ি ।
একটি পূর্ণাঙ্গ শৈল্পিক জমিদার বাড়ি, এর পাশেই ছোট্ট আরেকটি কারুকার্য খচিত ঘর, একটি অর্ধনির্মিত প্রাচীন বাড়ি। জমিদার বাড়ির পেছনে রয়েছে গাছগাছালি যুক্ত বাগান। জমিদার বাড়ি সহ এই বাগানের চারিদিকটা উঁচু প্রাচীর দ্বারা বেষ্টিত। রয়েছে সেই সময়ই তৈরি করা জমিদার বাড়ির সুন্দর একটি পুকুর আর সান বাধানো পুকুর ঘাট। তাছাড়া পুকুর ঘাটে ঢুকার সময় নিচে তাকালে দেখতে পাবেন তৎকালীন আমলের মূল্যবান কষ্টি পাথরের ঢালাই। পুকুরের চারপাশে পূঁজা করার জন্যে চারটি মঠ ছিলো। ২-৩ টা নষ্ট হয়ে মাটির সাথে মিশে গেছে। একটা অবশিষ্ট আছে যা পুকুর ঘাটেই দেখা মিলবে।
এই বাড়ীকে উকিলের বাড়ী বলেও জানে। তবে যত্নের অভাবে এবং কিছু অসচেতন ব্যক্তিদের ফেলে যাওয়া ময়লা আবর্জনার পরিমাণও ভালোই -_-
প্লিজ যারা যাবেন তারা এই বিষয়ে সচেতন থাকবেন :)
যেভাবে যাবেন --
কুড়িল বিশ্ব রোড থেকে BRTC এর বাস এ সরাসরি নরসিংদীর পাচদোনা নামবেন, টিকেট ১০০ টাকা. এরপর সেখান থেকে সি এন জি তে করে সরাসরি ডাঙ্গা গ্রাম বাজার। ভাড়া ৪০ টাকা জন প্রতি।
এরপর ডাঙ্গা বাজার থেকে রিক্সায় জমিদার বাড়ি। ভাড়া ৩০-৪০ টাকা .
** অথবা কাঞ্চন ব্রীজের পর মায়ার বাড়ি নেমে সেখান থেকে রিক্সা বা অটো তে করে সরাসরি এখানে আসা যায়।
--Follow Rafi Hassan -- [ Ссылка ]
--Like our Facebook page -- [ Ссылка ]
তৎকালীন ভারতবর্ষে এই এলাকাটি ছিল দেবোত্তর হিসেবে। মূলত দেবোত্তর বলতে বুঝায় ওয়াকফাহ্ জমি। ঐ সময়ে দেবোত্তর জমি হলে জামিদারকে খাজনা দেওয়া লাগতোনা। এই জমিদার বাড়িটি তৈরি করেছিলেন জমিদার লক্ষণ সাহা। মূলত তিনি ছিলেন প্রধান জমিদারের অধিনস্থ সাব-জমিদার। জমিদার লক্ষণ সাহার ছিল তিন ছেলে (নিকুঞ্জ সাহা, পেরিমোহন সাহা ও বঙ্কু সাহা)। বঙ্কু সাহা ভারত ভাগের সময় এখান থেকে ভারতে চলে যান। থেকে যায় দুই ভাই। পাকিস্থান থেকে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় হওয়ার কিছু পূর্বে নিকুঞ্জ সাহাও ভারতে চলে য়ায়। তখন থেকে যায় পেরিমোহন সাহা। এই পেরিমোহন সাহার ছিল এক ছেলে, তার নাম ছিলো বৌদ্ধ নারায়ন সাহা। বৌদ্ধ নারায়ন সাহার কাছ থেকে বাড়িটি ক্রয় করেন আহম্মদ আলী (উকিল)। মূলত আহম্মদ আলী সাহেব উকালতি পেশার সাথে সংযুক্ত ছিলেন বিধায় বর্তমানে এই জমিদার বাড়িটি উকিলের বাড়ি হিসেবেই বেশি পরিচিত।
Ещё видео!