বর্ষা এলে প্রকৃতিতে যেমন আলোড়ন সৃষ্টি হয় তেমনি মানুষের হৃদয়ও বেজে ওঠে এক চিরচেনা ছন্দের দোলায় । রবীন্দ্রনাথের কাছে বর্ষা কখনো নবযৌবনের প্রতীক, কখনো বিরহকাতর হৃদয়ের দহন-জ্বালার প্রকাশ। রবীন্দ্রনাথ বর্ষাকে বিশেষ শিল্পদৃষ্টিতে উপলব্ধি করেছেন যা তাঁর ‘বর্ষামঙ্গল’ কবিতায় প্রকাশ পেয়েছে। তাছাড়া রবীন্দ্রনাথের হৃদয়জুড়ে বর্ষা এমন একটি আসনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যেখানে কবি বর্ষার আগমনে পুলকিত হয়ে আনন্দের নির্যাসটুক প্রকৃতির মধ্যে ঢেলে দিয়ে বর্ষাকে অভিবাদন করেছেন, -
‘এসেছে বরষা, এসেছে নবীনা বরষা,/ গগন ভরিয়া এসেছে ভুবন-ভরসা -/ দুলিছে পবন সনসন বনবীথিকা,/গীতময় তরুলতিকা।’
এবারে কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর বর্ষামঙ্গল কবিতাটি পরিবেশন করেছেন বাংলাদেশ থেকে লিজা চৌধুরী, ফোর্থওয়ার্থ টেক্সাস থেকে মারুনা রাহি এবং ক্যালিফর্নিয়া থেকে সাদিয়া রহমতুল্লাহ ইসরাইল। তাঁরা একযোগে কবিতা ও গানের ডালি সাজিয়ে এবারের বর্ষাকে বরণ করে নিয়েছেন।
তাই বাঙালির প্রাণের ঋতু বর্ষা আমাদের ভালোবাসার উষ্ণস্পর্শে ও নিবেদনে হয়ে উঠুক স্নিগ্ধ ও সজীব। বর্ষা মানুষের মনে সঞ্চার করা অনন্ত বিরহ-বেদনা ধুয়ে মুছে নিক পরম নিষ্কলুষতায়।
Ещё видео!