#hanifraaz
#hanif raaz
#hanif
সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নে তুরাগ নদীর তীরে এই গোলাপ গ্রাম সাদুল্লাহপুরের অবস্থান। এখানে চতুর্দিকে গোলাপের সমারোহ। লাল টকটকে গোলাপ মাথা নাড়িয়ে বাতাসে সৌরভ ছড়িয়ে যেনো স্বাগত জানায় প্রকৃতিপ্রেমিদের। দিগন্ত বিস্তৃত সারি সারি গোলাপে সেজে আছে পুরো গ্রাম। যতোদুর চোখ যায় শুধু গোলাপ আর গোলাপ।
ঢাকার আশেপাশে অল্প সময়ের জন্য কোথাও ঘুরে আসতে চাইলে সাদুল্লাপুর হতে পারে আপনার জন্য একেবারেই উপযুক্ত জায়গা। যাত্রা পথে যেমন নদীর মনোরম দৃশ্য উপভোগ করতে পারবেন, তেমনি গোলাপের সৌন্দর্যও দেখতে পারবেন খুব কাছ থেকে। গোলাপ গ্রামের সৌন্দর্য উপভোগ করতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এখানে ছুটে আসেন প্রকৃতিপ্রেমি ভ্রমণপিপাসু মানুষজন।
এখানকার কোনো কোনো চাষী সকাল সকাল ফুল কেটে নিয়ে যান হাটে, দুপুরের পর সেসব ক্ষেতে তাই পাওয়া যায়না ফুলের দেখা। তবে যেসব ক্ষেতের ফুল কাটা হয় বিকেলে, সেসব জায়গায় খুব সহজেই আপনি উপভোগ করতে পারবেন ক্ষেত ভরা মোহনীয় ফুলের সারি সারি মিলনমেলা। সাদুল্লাপুরের পাশেই শ্যামপুর, এখানে বিকেলবেলায় আপনি উপভোগ করতে পারবেন সারি সারি ফুটন্ত গোলাপ ফুল। কারণ এই শ্যামপুরেই সন্ধ্যায় বসে গোলাপের হাট। তাই এখানকার গোলাপ চাষীরা সকালে ফুল না কেটে সাধারণতঃ বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ফুল কেটে থাকেন।
এখানকার গ্রামের প্রায় ৯০ ভাগ লোকের পেশা গোলাপ চাষ। এখানে মূলত মিরান্ডা প্রজাতির লাল গোলাপের চাষ হয়। পুরো গ্রাম জুড়ে সারা বছরই হয় ফুলের চাষ। গোলাপ চাষের সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে আমরা কথা বলেছি এখানকার কয়েজন ফুল চাষীর সাথে।
এখানে ফুলচাষীরা সাধারণতঃ পাইকারি ১ থেকে দেড় টাকা দরে বিক্রি করে থাকেন প্রতি পিছ ফুল। আপনি চাইলে বেছে বেছে কিছু গোলাপ নিজের জন্যও কিনে আনতে পারেন খুব সস্তায়।
যেভাবে যাবেনঃ গাবতলী কিংবা মিরপুর এক নম্বর গোল চত্বর থেকে রিকশাতেই দিয়াবাড়ি বটতলা ঘাট যাওয়া যায়। ঘাট থেকে ৩০ মিনিট পরপর সাদুল্লাহপুরের উদ্দেশে ট্রলার ছাড়ে। জনপ্রতি ২০ টাকা ভাড়ায় নদীর অপরুপ সৌন্দর্য আর ঠান্ডা বাতাস উপভোগ করতে করতে মাত্র ৩০ মিনিটেই পৌছে যাবেন গোলাপগ্রামখ্যাত সাদুল্লাপুরে।
আর সড়কপথে যেতে চাইলে ঢাকার যে কোনো জায়গা থেকে চলে আসুন মিরপুর-১ মাজারের সামনে। সেখান থেকে বাস বা টেম্পুতে উঠে ১৫ থেকে ২০ টাকা ভাড়ায় চলে আসুন আকরাইন বাজার, সেখান থেকে অটোতে উঠে জনপ্রতি ১৩ টাকার ভাড়ায় পৌছে যাবেন সারি সারি গোলাপের রাজ্য সাদুল্লাপুরে।
ঢাকার এতো কাছে মনমাতানো এই গোলাপের রাজ্যে আগে না আসার আক্ষেপে কবিগুরুর বিখ্যাত কবিতার সেই চরণযুগল বারবারই মনে হয়েছে আমারঃ
‘বহু দিন ধ’রে
বহু ক্রোশ দূরে
বহু ব্যয় করি বহু দেশ ঘুরে
দেখিতে গিয়েছি পর্বতমালা, দেখিতে গিয়েছি সিন্ধু।
দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া
ঘর হতে শুধু দুই পা ফেলিয়া
একটি ধানের শিষের উপরে একটি শিশিরবিন্দু।’
সব মিলিয়ে বিরুলিয়া যেন এক রূপকথার দেশ
@HanifRaazvlog
@হাওড় এক্সপ্রেস
@usharduyar1369
Facebook :[ Ссылка ]
Business purpose:- hanifraaz809@gmail.com
Ещё видео