সম্প্রতি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী হতে চাকরিচ্যুত সেনা কর্মকর্তা মেজর সৈয়দ মোঃ জিয়াউল হক জীবিত থাকার বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাবেক সেনা কর্মকর্তা লেঃকর্নেল Md Mustafizur Rahman উল্লেখ করেন এবং ঠিক তার পরপরই মেজর জিয়াউলের ঘনিষ্ঠ বন্ধু চলচ্চিত্র নির্মাতা Khijir Hayat Khan একটি ভিডিওতে দাবি করেন তার বন্ধু মেজর জিয়া বেঁচে আছেন।
এরই মাঝে নিজেকে মেজর সৈয়দ মোঃ জিয়াউল হক দাবি করে একজন অজ্ঞাত ব্যক্তি আমার সাথে যোগাযোগ করেন। বিভিন্ন তথ্যসূত্র যাচাই করে ধারণা করা যায় তিনিই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আলোচিত কর্মকর্তা মেজর সৈয়দ মোঃ জিয়াউল হক। যার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যে, তিনি ২০১৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানমনস্ক লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায়ের হত্যাকান্ড (যে ঘটনায় তাকে বাংলাদেশের একটি আদালত মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেছে) সহ, আরো অন্তত ৯জন ব্লগার, প্রকাশক, মুক্তমনা লেখকের হত্যাকান্ডের পরিকল্পনার মূলে ছিলেন তিনি। কিন্তু এ সকল অভিযোগের মূল উপাত্ত বা সত্যতা নিরূপণ করা আমার পক্ষে সম্ভবপর হয়নি।
মেজর জিয়া আমার সাথে যোগাযোগ করে তার একটি সাক্ষাৎকার প্রদানের আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং দাবি করেন যে, তাকে দেয়া খুনী ও জঙ্গি তকমা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং আওয়ামী লীগ সরকারের দুরভিসন্ধিমূলক পরিকল্পনার অংশ। বিচার বিভাগ সংস্কারের পর ন্যায় বিচারের আশ্বাস দেয়া হলে তিনি আত্মসমর্পণের আগ্রহও প্রকাশ করেন। যেহেতু প্রতিটি নাগরিকের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ এবং ন্যায় বিচার চাওয়ার অধিকার আমাদের সংবিধানে বিদ্যমান। সে কারণেই তাকে আমি কিছু প্রশ্ন প্রদান করি যেহেতু সরাসরি লাইভ ইন্টারভিওতে তিনি অপারগতা প্রকাশ করেন (তার অবস্থানগত নিরাপত্তার কারণে)।
তিনি আমাকে এখন পর্যন্ত তিনটি প্রশ্নের উত্তর প্রদান করেছেন এবং বাকী প্রশ্নের উত্তর পাঠাবেন বলে জানিয়েছেন।
এই ভিডিওতে প্রচারিত সকল ছবি মেজর জিয়া সরবরাহ করেছেন, ভিডিওতে দেয়া সাক্ষাৎকারের সকল মতামত মেজর সৈয়দ মোঃ জিয়াউল হকের নিজস্ব।
একজন অনুসন্ধানী সাংবাদিক এবং মানবাধিকার কর্মী হিসেবে আমি মেজর জিয়ার ব্যক্তিগত মতামতসহ বক্তব্য প্রকাশ করলাম।
Ещё видео!