This video is about : Adwaita Mallabarman Life Story ( অদ্বৈত মল্লবর্মণ অসামান্য জীবন কাহিনী). Actually his biography (জীবনী) is very hard to tell you within 15 to 20 minutes. But I have tried heart and soul, the result depends on you. Anyway, happy new year to all of you.
১৯১৪ সালের পয়লা জানুয়ারি। বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কাছে, তিতাস নদীর ধারে, গোকর্ণঘাট গ্রামে অদ্বৈত মল্লবর্মন জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি ছিলেন মালোপাড়ার বাসিন্দা, জেলেদের ঘরের সন্তান।
সামাজিক প্রতিকূল পরিবেশের মধ্যেই অদ্বৈত মল্লবর্মণ জীবন সংগ্রামে সম্মুখীন হয়েছিলেন। অসাধারণ এক সাহিত্যপ্রতিভা নিয়ে ১৯৩৪ সালে তিনি কলকাতায় এসেছিলেন।
১৯৩৪ সালে কলকাতায় ‘ত্রিপুরা হিতসাধনী সভা’র মুখপত্র ‘ত্রিপুরা’ পত্রিকায় তিনি একটি কাজ পেলেন। কিন্তু খুব বেশিদিন সেখানে তিনি কাজ করেন নি।
১৯৩৫ সালে সাপ্তাহিক ‘নবশক্তি' পত্রিকায় সহকারী সম্পাদক হিসেবে পূর্ণ উদ্যমে তিনি কাজ শুরু করলেন। সম্পাদক ছিলেন প্রেমেন্দ্র মিত্র। সাগরময় ঘোষ তার ‘সম্পাদকের বৈঠকে' বইটিতে লিখেছেন, ‘প্রেমেন্দ্র মিত্র নামেই সম্পাদক। পত্রিকা প্রকাশের দায়িত্ব একা অদ্বৈত মল্লবর্মনের ঘাড়ে।‘
১৯৩৮ সালে অদ্বৈত মল্লবর্মন নবশক্তি পত্রিকার সম্পাদক পদে উন্নীত হলেন। একটানা তিন বছর সেই পদে তিনি কাজ করলেন।
১৯৪১ সালে অর্থের অভাবে 'নবশক্তি' পত্রিকা প্রকাশ বন্ধ হল। সে বছরেই তিনি মাসিক ‘মোহাম্মদী' পত্রিকায় যোগ দিলেন। সে সময় তিনি ‘দৈনিক আজাদ' পত্রিকাতেও কাজ করেছিলেন।
১৯৪৫ সালে ‘মোহাম্মদী’ পত্রিকায় প্রকাশিত তাঁর ‘রক্তনিশান' শিরোনামে চারটি কবিতায় ব্রিটিশ-বিরোধী বক্তব্য থাকায় পত্রিকার পরিচালকমন্ডলীর সাথে তাঁর মতান্তর হয়। পরিণামে তিনি ‘মোহাম্মদী’ পত্রিকার চাকরি ছাড়তে বাধ্য হন।
১৯৪৫ সালেই সাগরময় ঘোষের সহযোগী হিসাবে তিনি ‘দেশ’ পত্রিকায় যোগ দেন এবং আজীবন ‘দেশ' পত্রিকায় তিনি কর্মরত ছিলেন।
বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় কাজ করতে গিয়ে তিনি একদিকে যেমন কবিতা লিখেছেন, গল্প লিখেছেন, তেমনি তিনি অন্যদিকে লিখেছেন উপন্যাস, রম্যরচনা এবং অজস্র গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধ। তিনি অসাধারণ অনুবাদের কাজও করেছেন।
মূলত সাহিত্যের জগতে তাঁর যা কিছু খ্যাতি, তা তাঁর একটিমাত্র উপন্যাসের জন্য। উপন্যাসটির নাম, আপনারা সকলেই জানেন, ‘তিতাস একটি নদীর নাম'। তিতাস নদীর জীবন দর্শনের উপর ভিত্তি করে, গ্রামীণ ব্রাত্যজনদের জীবনবৃত্তকে অবলম্বন করেই অদ্বৈত মল্লবর্মনের এই অসাধারণ মহাকাব্যিক উপন্যাস ---- আমাদের মনে করিয়ে দেয় বিশ্বখ্যাত সাহিত্যিক আর্নেষ্ট হেমিংওয়ের ‘দ্য ওল্ড ম্যান অ্যান্ড দ্য সি' উপন্যাসের কথা অথবা মনে করিয়ে দেয় বিশ্বখ্যাত সাহিত্যিক মিখাইল শলোখভের 'অ্যান্ড কোয়াইট ফ্লোজ দ্য ডন' উপন্যাসটির কথা।
অদ্বৈত মল্লবর্মনের মৃত্যুর পর 1956 সালে পুথিঘর প্রকাশনা থেকে উপন্যাসটি সম্পূর্ণ আকারে প্রকাশিত হয়। উপন্যাসটিতে রয়েছে চারটি খন্ড, প্রতিটি খন্ডে দুটি করে পর্ব। প্রথম খন্ডের পর্ব দুটির নাম: তিতাস একটি নদীর নাম ও প্রবাস খন্ড। দ্বিতীয় খণ্ডের পর্ব দুটি হলো নয়া বসত ও জন্ম মৃত্যু বিবাহ। তৃতীয় খন্ডের পর্ব দুটি হল রামধনু ও রাঙা নাও এবং চতুর্থ খন্ডের পর্ব দুটি হল প্রজাপতি ও ভাসমান।
উপন্যাসটি পড়ে গভীরভাবে প্রভাবিত হয়েছিলেন নাট্যকার নাট্যপরিচালক অভিনেতা উৎপল দত্ত। উপন্যাসটিকে তিনি মঞ্চরূপ দিতে আগ্রহী হয়েছিলেন। তারই পরিচালনায় ১৯৬৩ সালের ১০ই মার্চ দোলপূর্ণিমার দিন মিনার্ভা থিয়েটারে নাটকটি প্রথম মঞ্চস্থ হলো। বাংলা থিয়েটারের ইতিহাসে সেটি ছিল এক অবিস্মরণীয় সংযোজন।
১৯৭৩ সালে কিংবদন্তি পরিচালক হৃত্বিক ঘটকের পরিচালনায় উপন্যাসটি চলচ্চিত্রায়িত হয়। সেটা ছিল সর্বত্র সাড়া জাগানো এক ধ্রুপদী বাংলা ছবি।
বলাবাহুল্য, নাটক এবং চলচ্চিত্র হিসাবে তিতাস একটি নদীর নাম আজও সাহিত্য সংস্কৃতির জগতে একটি মাইলস্টোন হিসাবে চিহ্নিত হয়ে আছে।
১৯৯২ সালে উপন্যাসটির ইংরেজি অনুবাদ A River called Titas প্রকাশিত হয়। অনুবাদ করেছেন কল্পনা বর্ধন।
১৯৫১ সালের ১৬ই এপ্রিল মাত্র ৩৭ বছর বয়সে তাঁর জীবনের আলোকশিখা চিরতরে নিভে যায়।
Now please watch this video and express your views in the comment section below.
yours faithfully
The Galposalpo
Video in Text :
[ Ссылка ]
Blog : [ Ссылка ]
Facebook : [ Ссылка ]
Instragram : [ Ссылка ]
Twitter : [ Ссылка ]
and
YouTube: [ Ссылка ]
#adwaitamallabarman #অদ্বৈতমল্লবর্মন
Background Music:
Amazing Grace 2011 - Classical Whimsical by Kevin MacLeod is licensed under a Creative Commons Attribution licence ([ Ссылка ])
Source: [ Ссылка ]
Artist: [ Ссылка ]
Ещё видео!