মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আইনি পরামর্শ পেতে ০১৭১৬-৮৫৬৭২৮ নম্বরে ৫১০ টাকা বিকাশ করে পরামর্শ নিতে পারবেন। সরাসরি সাক্ষাৎ করে আইনী পরামর্শ নিতে চাইলে ০১৭১৬-৮৫৬৭২৮ নম্বরে ১৫৩০ টাকা বিকাশ করে সাক্ষাতের সময়সূচি জেনে নিয়ে নির্ধারিত সময়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র (যদি থাকে) নিয়ে চেম্বারে আসতে হবে। ঠিকানা: ব্যারিষ্টার দোলন এন্ড এ্যাসোসিয়েটস, প্রেস্টিজ হাউজ (২য় তলা), চিটাগাং হোটেলের সামনে, সেগুনবাগিচা, ঢাকা। অথবা প্রামাণিক ল’ চেম্বার, জজ কোর্ট চত্ত্বর, কুষ্টিয়া। This Channel does not promote and encourage any illegal content, illegal activities. The aim and objects of this channel is to create a law-conscious population.
কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি সম্পাদনের পর তা বাস্তবায়নে গড়িমসি করলে কিভাবে তা বাস্তবায়নে বাধ্য করবেন অর্থাৎ এনফোর্সমেন্ট অব কনট্যাক্ট বিষয়ে আইনে যা কিছু বলা আছে তা নিয়ে জানুন আইনী আলোচনা।
আপনি জমি বায়না করেছেন, কিন্তু এখন তিনি জমি রেজিষ্ট্রি করে দিচ্ছেন না, নানারককম তালবাহানা করছেন। নো টেনশন। বায়না দলিল অনুযায়ী আপনি জমি রেজিষ্ট্রি করিয়ে দিতে বাধ্য করতে পারবেন কিংবা ক্ষতিপূরণ আদায় করতে পারবেন। আবার অনেকেই জানতে চান যে, জমি বায়নানামা হয়েছে কিন্তু বায়নানমা রেজিষ্ট্রি হয়নি শুধুমাত্র ষ্ট্যাম্পে বায়নানামা লেখা হয়েছে, এখানেও আইনী সমাধান রয়েছে। আবার জমি বায়ননামা করেছে, কিন্তু গ্রহীতা বক্রি টাকা পরিশোধ করে জমি লিখে নিতে গড়িমসি করছে-সেক্ষেত্রেও জমি দাতা চুক্তি রদ করতে পারবেন এবং ক্ষতিপূরণ আদায় করতে পারবেন। ১৮৭৭ সালের সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ১২-২১ ধারার অধীনে চুক্তিমূলে কবলা পাবার মামলা আনয়ন করতে হয়।
জমি বায়নানামা করার পর অর্থাৎ চুক্তি সম্পাদনের পর কোন পক্ষ যদি চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করে বা চুক্তি অস্বীকার করে তাহলে ভুক্তভোগী পক্ষ সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন ১৮৭৭ এর ১২ ধারা মতে আদালতে চুক্তি প্রবলের মামলা করতে পারেন। তবে মনে রাখবেন, এরকম মামলা করতে হলে চুক্তি সম্পাদনের তারিখ হতে বা চুক্তি অস্বীকারের তারিখ হতে এক বছরের মধ্যে করতে হবে। এ আইনের ২১ এ ধারার বিধান অনুসারে আদালতের মাধ্যমে চুক্তি বলবত করতে হলে আপনাকে দুটি শর্ত পূরণ করতে হবে।
১। চুক্তি বা বায়নানামাটি লিখিত ও রেজিস্ট্রিকৃত হতে হবে নতুবা চুক্তি প্রবলের মামলা আদালতের মাধ্যমে বলবৎ করা যাবে না।
২। বায়নার অবশিষ্ট টাকা আদালতে জমা না করলে এ মামলা দায়ের করা যাবে না। ২০০৫ সালের ১লা জুলাইয়ের আগে বায়না দলিল রেজিস্ট্রি না করলেও চলতো। কাজেই বায়না দলিল রেজিস্ট্রি না করলে মামলা করে বলবৎ করা যাবে না।
তবে হতাশ হওয়ার কারণ নেই। বায়না দলিল রেজিস্ট্রি না হলেও বিকল্প ব্যবস্থা রয়েছে। আপনি ফৌজদারি আদালতে দন্ডবিধি আইনে মামলাও করতে পারেন। যেমন প্রতারণা করার উদ্দেশ্যে চুক্তি প্রতিপালন না করা। এই অপরাধের জন্য দ-বিধির ৪২০ ধারায় সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রতারণার মামলা করে আসামীকে জেল ও জরিমানা দিতে পারেন।
চুক্তি প্রবলের মামলা ছাড়াও অন্যভাবে বিভিন্ন প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নেয়া যায়। যেমন আপনি দেওয়ানি আদালতে ক্ষতিপূরণের মামলা করে ক্ষতিপূরণ আদায় করতে পারেন। একটি উদাহরণ দিলে বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয়ে উঠবে। ধরুণ, রহিম সাহেব করিমের কাছে ৫ বিঘা জমি বিক্রির জন্য বায়না করল। পরে দেখা গেল রহিম ৪ বিঘা জমির মালিক, বাকি এক বিঘা জমির মালিক তার ভাই কালাম। এখন দেওয়ানি আদালতে মামলা করলে ৫ বিঘা জমি করিমকে রেজিস্ট্রি করে দেয়ার জন্য রায় দিতে পারে না। এই ক্ষেত্রে ৪ বিঘা জমি রেজিস্ট্রি করে দেয়ার জন্য রায় দিতে পারে। বাঁকি এক বিঘা জমির ব্যাপারে ক্ষতিপূরণ দেয়ার আদেশ দিতে পারে। আর চুক্তি প্রবলের মামলা করলে আদালত নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দলিল রেজিস্ট্রি করিয়ে দেয়ার আদেশ দিতে পারেন। আদেশ অনুযায়ী দলিল করে না দিলে আদালতের তরফ থেকে দলিল রেজিস্ট্রি করে দেয়ার ব্যবস্থা করবেন।
এখন জানার বিষয় হচ্ছে যে, এ মামলা করতে কত টাকা খরচ হবে। কোর্ট ফিস এ্যাক্ট, ১৮৭০ এর ৭ ধারার (১০) উপধারা অনুযায়ী চুক্তি প্রবলের মামলায় চুক্তিকৃত পণ বা দাম অনুসারে মামলার মূল্য নির্ধারিত হবে। এখানে একটি বিষয় উভয় পক্ষকেই জেনে রাখা দরকার যে, চুক্তি প্রবলের জন্য যেমন মামলা করা যায়, তেমনি প্রয়োজনে চুক্তি রদের জন্যও জমি মালিক ১৮৭৭ সালের সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ৩৫ ধারায় মামলা চুক্তি রদের মামলা করতে পারেন। তবে এ মামলাটি করতে হবে বায়নাগ্রহীতা জমির বক্রি টাকা পরিশোধ করে জমি লিখে নিতে গড়িমসি করছে এ বিষয়টি জানার বা বুঝতে পারার তারিখ হতে ৩ বছরের মধ্যে। কিন্তু বর্তমান বায়নানামার সংশোধিত আইন অনুযায়ী বায়নানামা রেজিস্ট্রির তারিখ হতে এর বায়নার মেয়াদ হবে ৬ মাস আর মামলা দাখিলের সময় হবে আরও ৬ মাস পর সব মিলে আপনি মামলা করার সময় পাবেন অতিরিক্ত আরও ১ বছর। ক্রেতার ব্যর্থতার কারণে চুক্তিতে নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে ক্রেতা জমি কবলা রেজিস্ট্রি করে নিতে ব্যর্থ হলে চুক্তি ভঙ্গ হয়ে যাবে এবং বায়নার টাকা বিক্রেতার অনুকুলে বাজেয়াপ্ত হবে।
সর্বশেষ আরেকটি বিষয় জেনে রাখা দরকার, চুক্তি করার পর চুক্তির শর্ত পালন না করে অন্য কারও সাথে একই রকমের চুক্তি সম্পাদন করলেও পরবর্তী চুক্তিটির কাজ করা হতে বিরত রাখার জন্য আপনি দেওয়ানী আদালতে নিষেধাজ্ঞা প্রার্থনা করে দরখাস্ত দায়ের করতে পারবেন।
#law_tips_bd
#ল
#land_record
#contact_cancel
#চুক্তিবাতিল
#জমিবিক্রয়েরচুক্তিবাতিল
#ক্ষতিপূরণআদায়
#land
#Seraj_pramanik
#dainikinternational.com
#Lawtipsbd
Ещё видео!