প্রতিদিন সন্ধ্যায় কলকাতার এক বাসস্টপে দেখা হতো সৈকত আর ঐশ্বর্যের। সৈকত সুরে মগ্ন থাকতো, আর ঐশ্বর্য ছবি আঁকতে ব্যস্ত। কথা নয়, শুধু কিছু হাসি আর নীরবতা দিয়ে একে অপরের সঙ্গে বুঝে নেওয়া, একরকমের নীরব বন্ধন।
একদিন বৃষ্টির সন্ধ্যায় সৈকত তার ছাতা বাড়িয়ে দিলো ঐশ্বর্যের দিকে। প্রথমবারের মতো দু'জন কাছাকাছি দাঁড়ালো, বৃষ্টির ছোঁয়ায় মনের গভীরে আলোড়ন, কিন্তু মুখে কোন কথা নেই। পরের দিন সৈকত এল না। দিন গড়িয়ে গেল, কিন্তু সে আর ফিরে এল না।
মাসখানেক পর, ঐশ্বর্য তার প্রথম চিত্র প্রদর্শনীতে উপস্থিত। হঠাৎ পরিচিত সুর কানে এলো। ঐ সুর—সৈকতের সুর। চারপাশে তাকালো, কিন্তু তাকে খুঁজে পেল না। সেই সুর, সেই স্মৃতি যেন বাতাসে ভাসমান, বলার নয়, শুধু অনুভব করার জন্যে।
Ещё видео!